আদিকাল থেকেই পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নটি অতি প্রসিদ্ধ । বড়পীর হযরত আবদুল কাদের জীলানী'র বংশধর সৈয়দ আহমদ আলী ওরফে সৈয়দ আউলিয়া এলাকাটিকে ইসলামের আলোয় আলোকিত করেছিলেন। তার আগমনের পূর্বে এলাকাটি শিক্ষা-দীক্ষায় পিছিয়ে এবং অবহেলা আর কুসংস্কারপূর্ণ ছিল। সৈয়দ আউলিয়া ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে এ এলাকাতে আগমন করে বসতি স্থাপন করেচ। তার অবস্থানের কারণে এলাকাটি "গুজরা" নামে পরিচিতি লাভ করে। গুজরা একটি ফারসি শব্দ। যার অর্থ হচ্ছে যাপন করা, অতিবাহিত করা বা নির্বাহ করা। মগ দস্যুদের আক্রমণে অধিকাংশ আধিবাসি এলাকাটি ছেড়ে পালিয়ে গেলেও সৈয়দ আউলিয়ার নির্দেশে তার বংশধর, ভক্ত মুরিদান ও কিছু সংখ্যক আধিবাসী সেখানে থেকে যায়। এই আধিবাসীগণ অনেক কষ্টে জীবন যাপন করত বা গুজরাতো বলে এই এলাকার নাম হয়ে উঠে গুজরা। পরবর্তীতে এলাকাটি তিনটি মৌজা এবং পূর্ব গুজরা আর পশ্চিম গুজরা দুইটি আলাদা ইউনিয়নে বিভক্ত করা হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস